২০২০ সালের মধ্যেই মেট্রোরেল: কাদের

২০২০ সালের মধ্যেই মেট্রোরেল: কাদের

রাজধানীতে ২০২০ সালের মধ্যে মেট্রো রেলের কাজ শেষ করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সোমবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট স্টেশন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে দুটি চুক্তি সই হয়। এ সময় কাদের এই কথা জানান।

চুক্তি অনুযায়ী এক হাজার ৮৫৫ কোটি টাকায় আগারগাঁও থেকে কাওরানবাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করবে বাংলাদেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও জাপানের অ্যাবে নিক্কো। ২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকায় ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করবে জাপানের সুমিতোমো মিতসুই কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। ভায়াডাক্টের ওপর চলবে বিদ্যুতচালিত ট্রেন।

 

রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে সবচেয়ে কার্যকর প্রকল্প হিসেবে ধরা হচ্ছে মেট্রোরেলকে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই লাইনে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহনের ক্ষমতা থাকবে।

প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং পরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত লাইন চালু হবে। আগারগাঁও পর্যন্ত কাজ চলছে পুরোদমে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ্ই রুট চালু হবে।

আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি টেস্ট পাইলের মধ্যে সবগুলোর কাজ শেষ করা হয়েছে। টেস্ট পাইল করার পর মাটির মান পরীক্ষা করতে ৩৮৩টি চেকবোরিংয়ের কাজও শেষ হয়েছে।

দুই হাজার ৩৭৮টি পাইলের মধ্যে সাতশটিরও বেশির কাজ শেষ হয়েছে। পাইলের ওপর বসবে পিয়ারক্যাপ। পিয়ারক্যাপের ওপর ৭৩১টি পিয়ার বসবে। পিয়ারের ওপর বসানো হবে ভায়াডাক্ট, যার ওপর দিয়ে মেট্রো ট্রেন চলবে।

এরই মধ্যে উত্তরার দিয়াবাড়িতে লাইনের ওপর দুটি ভায়াডাক্ট বসেছে। এর ওপরই হবে মেট্রোরেলের লাইন। আগারগাঁওয়ে ভায়াডাক্ট বসানোর প্রস্তুতি চলছে।       এই পরিস্থিতিতে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অবধি কাজ শুরু করতে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম এর সাথে টেকেন করপোরেশন ও এবেনিকো জেভির চুক্তি সই হয়।

সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘হলি আর্টিজান (২০১৬ সালের জুলাইয়ে) ট্রাজেডির জন্য আমরা ছয় মাস পিছিয়েছিলাম। তবে জাপানিজ কোম্পানি ও জাইকার স্পিরিট কিন্তু কমেনি, এটা খুশির খবর।’

‘ছয় মাসে আমরা সেটা কাভার করে ফেলেছি। ২০১৯ সালে আঁগারগাও পর্যন্ত এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত পুরো মেট্রোরেলের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হবে।’

‘প্রজেক্ট কিন্তু শেষ হওয়ার কথা ২০২৪ সালে। জাপান আমাদের কোয়ালিটি কাজ দিচ্ছে। চমৎকার একটা পার্টনারশিপ এখানে কাজ করছে।’

‘জাপান আমাদের কোয়ালিটি কাজ দিচ্ছে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হলে এই প্রকল্পে ৭০০ কোটি টাকা খরচ বেঁচে যাবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment